আব্দুল্লাহ সায়েম:
কক্সবাজারের নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার গোমাতলী গ্রামের জমজ দুই কুরআনে হাফেজ ভাই এমবিবিএস পরীক্ষায় অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে।
ছোটকাল থেকে মানুষের সেবা করার প্রত্যয়ে দু’ভাই একসাথেই প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হন ডাক্তার হওয়ার। অবশেষে দৃঢ় পরিশ্রম তাদের এনে দিয়েছে প্রত্যাশিত সেই সাফল্য আর এই সফলতায় এলাকাবাসীর মাঝে বিরাজ করছে বাধ ভাঙ্গা উচ্ছ্বাস ।
নবগঠিত ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের পশ্চিম গোমাতলী এলাকার জাফর আলমের পুত্রদ্বয় সাজ্জাদুর রহমান ও মোহাম্মদ জাহেদ ১৮ অক্টোবর রোজ সোমবার হওয়া এমবিবিএস পরীক্ষায় পাশ করেছে । তারা দুই জনই ঈদগাঁও মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক এহেসানুল হকের ছোট ভাই।
তাদের এই অসাধারণ কীর্তিতে পরিবার পরিজনসহ এলাকাবাসীর মাঝে দেখা যায় ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা। এলাকার অনেক তরুণই তাদের এই সফলতাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিচ্ছে এবং সোস্যাল মিডিয়ায় বিভিন্নভাবে তাদের এই সফলতাকে অভিবাদন জানাচ্ছেন।
জমজ ভাইদের পরীক্ষায় পাশ করার সত্যতা নিশ্চিত করেন তাদের বড়ভাই ঈদগাঁও মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক এহেসানুল হক।
তাদের প্রতি অভিবাদন জানান পোকখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফুফাতো ভাই রেজাউল করিম সুজন সহ আরও অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য সাজ্জাদুর রহমান ও মোহাম্মদ জাহেদ একসাথেই গোমাতলী হোসাইনিয়া তালীমুল মুসলিমিন মাদ্রাসা থেকে ৫ম শ্রেণি পাশ করে লরাবাক হেফজ খানা থেকে হাফেজ হন এবং ডুলাহাজারা ইসলামিয়া আরবীয়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে মাধ্যমিক এবং চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস এ সফলতার সাথে উত্তীর্ণ হন।
এই কৃতিত্বে মা-বাবা, বড় ভাই মিজান ও মেজ ভাই ঈদগাঁও মেডিকেল সেন্টারের পরিচালক এহসানুল করিমের অবদান অনস্বীকার্য। আর তাদের এই সফলতার পেছনে যারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন সেই সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতিও প্রতিজ্ঞা প্রকাশ করেছেন এ দু ভাই। সেই সাথে সর্বাবস্থায় মানুষের পাশে থেকে সেবা করার প্রত্যয়ে আগামী টা সুন্দর করতে চান তারা।
আমরা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।